স্বর্ণ (Gold) প্রকৃতপক্ষে “তৈরি” করা হয় না — এটি একটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট মৌলিক উপাদান (Au), যা পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের নিচে খনি থেকে উত্তোলন করা হয়। স্বর্ণ গঠনের প্রক্রিয়া কয়েকটি ধাপে বিভক্ত:
🔸 মহাজাগতিক উৎস:
স্বর্ণের মূল উৎপত্তি ঘটে মহাবিশ্বে। বড় বড় তারার বিস্ফোরণ (সুপারনোভা) ও নিউট্রন তারার সংঘর্ষের ফলে স্বর্ণের পরমাণু তৈরি হয়। এই ধাতুগুলো প্রাচীনকালে উল্কাপিণ্ডের মাধ্যমে পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে।
🔸 খনি থেকে উত্তোলন:
স্বর্ণ সাধারণত খনিজ আকরিক (ore)-এর সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় মাটির গভীরে থাকে। খনির মাধ্যমে এই আকরিক উত্তোলন করা হয়।
🔸 পরিশোধন ও পরিশুদ্ধকরণ:
আকরিক পিষে ফেলা হয় এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়া (যেমন সায়ানাইড পদ্ধতি বা পারদের সাহায্যে আমালগামেশন) ব্যবহার করে স্বর্ণ আলাদা করা হয়।
🔸 গলন ও বিশুদ্ধকরণ:
পরিশোধিত স্বর্ণকে উচ্চ তাপে গলিয়ে এর ভেতর থাকা অপদ্রব্য আলাদা করা হয় এবং তারপর প্রায় ৯৯.৯% বিশুদ্ধ স্বর্ণের বার বা কয়েন তৈরি করা হয়।
📌 সংক্ষেপে বলা যায়:
মানুষ স্বর্ণ তৈরি করে না, বরং এটি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি এবং মহাবিশ্ব থেকে আগত একটি মৌল, যা আমরা মাটি খুঁড়ে উত্তোলন ও পরি
শোধন করে ব্যবহার করি।